বগুড়ার শেরপুরে ছোনকা রহিমা নওশের আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ লুটপাট ও শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এনে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার অত্র কলেজের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এলাকার ছাত্র ছাত্রী সাধারণ জনগণ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।
এক ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র নেতা আব্দুল খালেক, ভবানীপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, ভবানীপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান, , ভবানীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, ভবানীপুর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াকুব রাঙ্গা, ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান মারুফ, শামীম আহমেদ, আরাফাত, নাফি সরকার, রাজু আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বিগত সময়ের গভর্নিং বডি সভাপতির যোগসাজোসে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট করেছেন। ৫ ই আগস্ট সরকারের পতন হলে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। এই সময় কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। শহিদুল ইসলাম বাবলু অধ্যক্ষের দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য তৎপরতা শুরু করেন। ইতিমধ্যে তিনি নিয়মিত কমিটির সভাপতি মনোনীত হন। কিন্তু হঠাৎ করেই শহিদুল ইসলামকে অপসারণ করে গত ১৩ এপ্রিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি চিঠি ইস্যু করে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, অপসারণের আগে তাকে কোনো কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। এটি অন্যায় এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, অধ্যক্ষ এস এম আসাদুজ্জামান কলেজে দুর্নীতি করছেন। তিনি তার অনিয়ম ঢাকতেই সভাপতিকে সরিয়েছেন।
বক্তারা দ্রুত ভিপি শহিদুল ইসলাম বাবলুকে সভাপতি পদে পুনর্বহাল এবং অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবি জানান। তা না হলে আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সভাপতি পদে যিনি বর্তমানে নিযুক্ত হয়েছেন। প্রচলিত বিধিমালা অনুসরণ করেই তিনি হয়েছেন। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হলেই আমি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হব।