বগুড়া শেরপুরে দুইযুগ আগে দলিলকৃত ও ভোগদখল করা জমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বেদখলের অভিযোগ। সে জায়গায় বাড়ীঘর ও গাছপালা লাগিয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ এলাকার বিদ্যুৎ অফিসের দক্ষিণপূর্ব পাশে। শুধু তাই নয়, ওই জমিদখল মুক্ত করতে বিভিন্ন সময়ে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীসহ জানমালের ক্ষতিসাধনের হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এসব ঘটনার প্রতিকারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী জমির মালিক।
মঙ্গলবার(২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী হাজি মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক নানা তথ্য তুলে ধরেন। আবু বক্কর সিদ্দিক ্উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম গ্রামের মৃত আনছার আলী আকন্দের ছেলে।
এসময় তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ২০০১ সালে দড়িমুকুন্দ মৌজার সিএস ৭৬ খতিয়ান ২৪৯ দাগে ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে এ যাবতকাল পর্যন্ত ভোগ দখল করিয়া আসিতেছিলাম। দীর্ঘ দুই যুগ পর গত বছরের ৫ আগস্টের পূর্বে শাহ্ বন্দেগী ইউনিয়ন আওয়ালীগের সভাপতির ছত্রছায়ায় ধড়মোকাম গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মো, রশিদ((মাদক বা ইয়াবা ব্যাবসায়ী বলে পরিচিত) , জহুরুল ইসলামের ছেলে যুবলীগনেতা নূর মোহাম্মাদ ও দড়িমকুন্দ গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক নামের তিন ব্যাক্তি সহ বিবাদীগণ আমার উক্ত সম্পত্তি জোর পূর্বক জোবর দখল করার জন্য বিভিন্ন রকমের পাইতারা করিয়া আসিতেছে। উক্ত সম্পত্তি লইয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা আসে। মামলাটি বর্তমানে চলমান আছে এবং উক্ত সম্পত্তির উপর বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। ফলশ্রুতিতে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ স্বাক্ষরিত নোটিশটি ১২/০০/২৫ সকাল ১১ টার দিকে জারি করে। এরপরেও বিবাদীগন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই দিন বিকাল সাড়ে চারটায় ওই জমিতে আম গাছ ও কলার গাছ লাগায়। এর প্রেক্ষিতে শেরপুর থানা কর্তৃপক্ষ পরে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করার কারনে তাদের বিরুদ্ধে ১৮৮ ধারার প্রসিকিউশন কোর্টে প্রেরণ করেন।
শুধু তাই নয় আমার জায়গা বেদখলকারী বিবাদীদের মধ্যে আব্দুর রশিদের একাধিক মাদক মামলায় বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা চলমান। ইতোপূর্বেও বেশ কয়েকবার ইয়াবা ও মাদক সহ গ্রেফতার হযেছে বর্তমানে ৫ আগস্টের পর বিএনপির কিছু নেতার মাধ্যমে গোপনে ব্রাণের ব্যাবসার আড়ালে মাদকদ্রবের রমরমা ব্যাবসা করে আসছে।
বিবাদীগণ আমার ক্রয়কৃত ও দীর্ঘদিনের ভোগদখলকৃত সম্পত্তি গ্রাস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিবাদী আগে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দাপট দেখিয়ে এবং এখন আবার বিএনপি’র ক্ষমতা দেখিয়ে অন্যায়ভাবে জমি দখল পূর্বক বাড়ীঘর নির্মান, গাছ-গাছড়া লাগানোর অপচেষ্টা সহ নানা অনৈতিকভাবে আমাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তাই প্রতিপক্ষের মত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী এবং অসৎ চক্রের মাধ্যমে যেকোন সময় আমাদের জমি দখল, আর্থিক ও জানমালের ক্ষতিসাধন হতে পারে। এজন্য আমি ও আমার পরিবারের সদস্য জানমালের নিরাপত্তাহীনতা ভূগছি। প্রতিপক্ষের নানা অপকর্ম প্রতিকারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে আবু বকর সিদ্দিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মোখিকভাবে অভিযোগ তুলে বলেন, আমার ওই তফশীলভূক্ত সম্পত্তিটি নিয়ে গত বছরের ৫ আগস্টের পূর্বে অন্য একটি দলিল সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে বর্তমান সময়ে স্থানীয় কতিপয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় জমিটি বেদখল দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাছাড়া তারা এও বলছে,‘‘ হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে নয় তুমি আমাদের কাছ থেকে ৫/৬ লক্ষ টাকা নিয়ে দলিল করে দিয়ে জায়গা ছেড়ে চলে যাও।” কিন্তু আমি তাদের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় প্রতিপক্ষ নানাভাবে হয়রানি করছে।